আবু সুফিয়ান পারভেজ, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম)॥কুড়িগ্রাম এর ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় আমন ধানের জমিতে সোনালী ধানের শীষে ছেয়ে গেছে। সব জমিতেই আশানুরুপ ফলনের আশা করছেন চাষীরা। এরই মধ্যে জমি থেকে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা ছাড়িয়ে কৃষক ১৬ হাজার ৮৫৩ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেন। আর ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে ৭৭ হাজার মেট্রিক টন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুজন কুমার ভৌমিক জানান, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন পেতে মাঠ পর্যায় কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। সব ঠিক থাকলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
কথা হয় উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়ন এর মইদাম গ্রামের ধান চাষী আব্দুস সালামের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রথমে মনে করেছিলাম হয়ত এবার আমন ধনের ফলন ভালো হবে না। কারণ এক দিকে যেমন খরা অন্য দিকে পোকা-মাকরের কারনে ফসল মার খেতে বসেছিলো। কিন্তু এখন দেখছি ধানের মান ভালো হয়েছে।
আব্দুস সালাম বলেন, এবার ১০ বিঘা জমিতে বি আর ৪৯ জাতের ধান আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় খরচ প্রায় ১১ হাজার টাকা। তবে ২০ মন হারে জমিতে ফলন হয়েছে। ধানের দাম বেশি থাকায় ৮ হাজার থেকে ১৩ হাজার টাকা বিঘা প্রতি লাভ হবে। চর বলদিয়া গ্রামের ধান চাষী বানু মিয়া বলেন, এবার পোকার মাকড় বেশি দেখা দিলেও কিটনাশক প্রয়োগ করার পর তা সেরে গেছে। আমি এবার ৮ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। প্রতি বিঘা খরচ বাদ দিয়ে ৩ হাজার টাকা লাভ হবে। সময়মত পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করায় ভালো ফলন হয়েছে।