তাওহীদুল ইসলাম শুভ পাথরঘাটা (বরগুনা)॥বরগুনার পাথরঘাটা বিষখালী নদীর জেলেরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে মাসিক চাদা না দেয়া দুই জেলেকে ডেকে নিয়ে এক বছরের জেল দেয়ার অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধা সাড়ে ৫ টার দিকে কালমেঘা ইউনিয়নের টুলু পয়েন্ট এলাকায় ওই জেলে পরিবার ও স্থানীয় জেলেরা মানববন্ধন করেছেন।
এর আগে বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে তাদেরকে একই এলাকা থেকে তাদেরকে ডেকে বড়ইতলা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ বছরের কারাদণ্ড দেন তারা।
দন্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলো, উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের মধ্যকুপধন এলাকার আব্দুস সুলতান হাওলাদারের ছেলে আব্দুস ছালাম (৩৪) ও একই এলাকার মো. জালাল মাঝির ছেলে বেল্লাল (৩২)।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিমাসে প্রত্যেক নৌকাপ্রতি দুই হাজার টাকা করে পাথরঘাটা মৎস্য অফিসার জয়ন্ত কুমার আপুকে মাসোহারা দেয়া হতো। নদীতে মাছ না পড়ায় গত তিন মাস ধরে মাসোহারা দিতে পারছেন না। এর কারনে ক্ষোভে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে।
দন্ডপ্রাপ্ত আব্দুস সালামের স্ত্রী পারুল বেগম জানান, আমার স্বামী গত তিন মাস ধরে নদী মাছ শিকারে যায় না। বর্তমানে ক্ষেতে কৃষি কাজ করে। কিন্তু রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে জেলে দিয়েছে। এখন আমার ছোট ছোট দুই সন্তানদের নিয়ে হতাশায় আছি। এক বছর কিভাবে সংসার চলবে?
স্থানীয় জেলে কালাম হাওলাদার বলেন, আমি পেশায় কৃষক। আমাকেও তারা ডেকে নিয়ে নৌকায় তুলতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি দৌড়ে পালিয়েছি।
জেলে কালাম মৃধা জানান, আমরা এলাকার জেলেরা মিলে প্রতি মাসে মৎস্য অফিসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা মাসোহারা দিতাম। নদীতে মাছ না পড়ায়ে গত তিন মাস ধরে মাসোহারা দিতে না পারায় তারা আমাদের সাথে ই আচরণ করেছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমাড় অপু জানান, অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকারের সময় তাদের আটক করা হয়েছে, কাউকে হয়রানী করার জন্য আটক করা হয়নি। আপনাকে মাসোয়ারা দিতে দেরি হওয়ায় তাদেরকে আটক করেছেন এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।