এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও॥ ‘সুখবর, সুখবর, সুখবর। ঈদগাঁওবাসীর জন্য সুখবর। মাথাব্যথা, কোমর ব্যথা, কাশি, হার্ট রোগে ডাক্তার সাহেব প্রতি মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার নিয়মিত রোগী দেখবেন….
এই ধরনের মাইকিং কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে নিত্য যন্ত্রণা। বিষয়টি এখন বৃহৎ এলাকাবাসীর কাছে অসহনীয় পর্যায়ে। সিএনজিতে দুটি মাইক বেঁধে উচ্চ শব্দে দিন-রাত চলে প্রচারণা।
দীর্ঘ সময় ধরে এভাবে মাইকিং করতে এখন আর দরকার পড়েনা ঘোষকের। ঘোষণাটি এক বার রেকর্ড করে মেবাইলের মেমোরি কার্ডে নিয়ে সিএনজিতে মাইক বেঁধে চলতে থাকে দিনভর বিরতিহীন ঘোষণা।
এ তো গেল মাইকের যন্ত্রণা। এছাড়াও যত্রতত্রে রাস্তার ওপর ইটভাঙার মেশিন,কাঠের,স্টিলের আসবাবপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রের বিকট শব্দ। পাশাপাশি গান লোডের দোকানে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্সের শব্দ। সে সাথে যানবাহন হর্ন তো রয়েছে। ঈদগাঁও উপজেলা ৫ ইউনিয়নে একই অবস্থা। দেখার যেন কেউ নেই।
একাধিক পথচারীরা জানালেন, প্রতিদিন হরেক রকমের যানবাহনের হর্ন শব্দ, নানান প্রচার প্রচারনা বিকট শব্দে মাথা ব্যাথা শুরু হয়। এর প্রতিবাদ করেও কোন সমাধান পাচ্ছিনা। ফলে সাধারন মানুষরা বিভিন্ন কার্যক্রমে মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ঈদগাঁওর কজন শিক্ষার্থী জানান, শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল কিছুই মানেনা। এরই থেকে ঈদগাঁওবাসীকে মুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
পথচারী কালু জানান, অতিরিক্ত শব্দ দূষণ শিশু সহ সববয়সে মানুষের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত শব্দে মস্তিষ্কে বিরক্তি কারণ ঘটে। শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মস্তিষ্কে চাপ সৃষ্টি হয়, কর্মক্ষমতা কমে যায়,মেজাজ খিট খিটে হয়ে যায়, কাজ কর্মে মন বসেনাও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চরম ক্ষতি হয়।