এম আবু হেনা সাগর॥ শুরুতেই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। এখানে দেশের বিভিন্ন এলাকাসহ স্থানীয় নরনারীরা ছুটে আসছেন। তারই আলোকে সমুদ্র নগরী কক্সবাজারে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের।
দেখা যায়, কক্সবাজার সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকদের আনাগোনা। দেশের নানা স্থান থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের উচ্ছ্বাস যেন চোখে পড়ার মত। অনেক পর্যটকরা সাগরের নোনা পানিতে গোসল করে আনন্দ ও তৃপ্তি মেটাচ্ছেন। উৎসুক মানুষ নেমে পড়ে সাগর তীরে। দর্শনার্থীরা বালিয়াড়িতে হাটছে। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় রয়েছে পুলিশও। ধীরে ধীরে বাড়ছে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়। যারা এসেছেন তারা যে যার যার মত হইহুল্লোড়ে ব্যস্ত। উৎসব মুখর হয়ে উঠছে সৈকত প্রাঙ্গন।
সমুদ্র সৈকতে কেউ আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে, কেউবা ছেলে-মেয়ের আবদার রক্ষা করতে, আবার কেউ কেউ বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডায় ব্যস্তসময় পার করতে দেখা যায়। অনেকেই নাতী নাতনীদের নিয়ে ছাতার নিচে বসে গল্পগোজর করে আনন্দ করছেন, কেউবা বেলুন উড়িয়ে ছোট্ট ছেলেমেয়েদের আনন্দ দিচ্ছেন। সৈকতের লাগোয়া ঝিনুকের দোকানগুলোতে পর্যটকদের ভীড় লক্ষনীয়।
সৈকতে বেড়াতে আসা ফাহিম জানান, দীর্ঘসময় পর পর্যটন স্পর্ট সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে ভাল লাগল। সকাল থেকে পর্যটকদের ভীড়। শীতের সকালে সৈকতের বারিয়াড়িতে হাঁটা যেন এক বাড়তি আনন্দ। সাগরের উত্তাল ঢেউ, বালুকাময় আর ঝাউবিথির দৃষ্টি নন্দন দৃশ্য ভুলার নয়।
স্থানীয় পর্যটক রেহেনা নোমান কাজল জানান, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে শীতের আগেই দেশের বিভিন্ন স্থানের পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠে। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটকদের সংখ্যাও কম নয়।