নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজার জেলায় উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় আবারও বেপরোয়া সৈয়দ নুর, আলমগীর সিন্ডিকেট। এরা দুইজন জেল ফেরত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী এদের বিরুদ্ধে ডজনেরও উপর হত্যা মামলা সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে।
এরা বিগত আ.লীগ সরকারের আমলে ক্ষমতা অপব্যবহার করে বালুখালী সীমান্ত দিয়ে সর্বোচ্চ ইয়াবা পাচার করে আসছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এখনো থেমে নেই এদের অসাধু কারবার।
জানা যায়, এদের মধ্যে কয়েকজন প্রশাসনের সোর্স হিসেবে কাজ করলেও মূলত এরা সকল অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সৈয়দ নুর কিছুদিন পূর্বে চল্লিশ হাজার ইয়াবা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর হাতে আটক হয়েছিল। পরে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও কারবার চালিয়ে যাচ্ছে এই গং।
পুরাতন রোহিঙ্গা হওয়ার সুবাদে সৈয়দ নুর ও আলমগীর মায়ানমার হতে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে ইয়াবার চালান বালুখালী সীমান্ত দিয়ে পাচার করে প্রথমে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ঢোকায়। এরপর সমগ্ৰ বাংলাদেশে এদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিক্রি করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ সৈয়দ নুরের ভাই যুবলীগ নেতা আলমগীর ভোট জালিয়াতি করে বাজার কমিটির সভাপতি হয়। সে বর্তমানে তার আত্মীয় স্বজন নতুন রোহিঙ্গাদের দিয়ে বালুখালীর শান্ত পরিবেশকে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাঁয়তারা করছে। বিভিন্ন অপরাধে আলমগীর খেটেছেন, তার বিরুদ্ধে আছে হত্যা মামলা, মাদক মামলা সহ বিভিন্ন ধারায় ডজনেরও উপর অধিক মামলা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যে দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতি যুক্ত এবং বিভিন্ন সময়ে বালুখালিতে ঝগড়াঝাঁটি হলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে শাসাত।
স্থানীয়দের তথ্যমতে, এই গংয়ের হাতে একটি দুইনলা বন্দুক, একটি দেশীয় তৈরি সর্ট বন্দুক ও ৪টি বিদেশি পিস্তল রয়েছে। এগুলো অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করার জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত। আলমগীরের নামে উখিয়া থানায় একাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম্বার ৫১৪/২০২৩, মামলা নাম্বার ২৯/৬৪৬-৩০২/৩৪, ৬৩/৫২৫ তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০২০, মামলা নাম্বার ৩/২৩৪ তারিখ ৩ জুলাই ২০১৮, মামলা নাম্বার ২৬/১৭৭ তারিখ ১৫ই মে ২০১৮, মামলা নাম্বার ৭০/৭০ তারিখ ১৬ই জানুয়ারি ২০২২, মামলা নাম্বার ১৪/১৪৯ তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, মামলা নাম্বার ১৩৫/১৩৫ তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২২। আর সৈয়দ নুরের নামেও রয়েছে একাধিক মামলা যার জি আর নাম্বার ২৪৫ তারিখ ৮ই আগষ্ট ২০১৪, মামলা নাম্বার ৩/২৩৪ তারিখ ৩ জুলাই ২০১৮, মামলা নাম্বার নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ২/৩৩ ১২ই মে ২০১৭, মামলা ২২/১৭ তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৭, মামলা নাম্বার ৩১ তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৪ এই মামলা সহ আরও অনেক গুলো না জানা মামলা নাম্বার রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি এই ধরনের চিন্হিত ইয়াবা কারবারি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের গ্ৰেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।