ইমাম হাছাইন পিন্টু, নাটোর॥ নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় এসএসসির ফলাফলে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে খুবজীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
এবছরও এসএসসির ফলাফলে উপজেলার শীর্ষস্থান অর্জন করেছে বিদ্যালয়টি। সেই সাথে উপজেলা সেরাও হয়েছেন মৌমিতা তাবাসসুম, মো: হুসাইন ও মাইশা ফারজানা মিথি নামের এই তিন কৃতি শিক্ষার্থী। তাই আনন্দ-উল্লাসের কমতি ছিলোনা ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মচারীসহ এলাকাবাসির মধ্যে।এছাড়া ইতিপূর্বে ফলাফলে ভালো সুনাম রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।
উপজেলা সেরা ১২৬১ নম্বর পাওয়া মৌমিতা তাবাসসুম জানান, এই প্রতিষ্ঠান থেকে সফল হওয়া কৃতি মানুষগুলোর কথা জেনেই মনের মধ্যে সুপ্ত বাসনা ছিল প্রথম হওয়ার। সেই থেকে সব শিক্ষকদের পরামর্শ ও নানা পরিকল্পনা করি। আমরা কি মফস্বল থেকে দেশের নামি-দামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মতো ফলাফল করতে পারব না? শিক্ষকরা জানালেন ইচ্ছা থাকলে ভালো ফলাফল করা সম্ভব।’ তার পর আর পিছু ফিরে তাকাইনি। তাই উপজেলা সেরা হতে পেরেছি। বাবা আব্দুর রাজ্জাক ব্যাবসায়ী মা মরিয়ম গৃহিনি হলেও আমাকে সর্বদাই সহযোগিতা করে আসছে। আমার স্বপ্ন ভবিষ্যতে একজন সুনামধন্য প্রকৌশলী হবার।
উপজেলার দ্বিতীয় সেরা হওয়া আবু বক্কারের ইচ্ছাও প্রকৌশলী হাবার। সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১২৫৭ নম্বও পেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। উপজেলার তৃতীয় স্থান অর্জনকারী মাইশা ফারজানা মিথি ১২৫৪ নম্বর পেয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছেন। তার ইচ্ছা প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আনিসুর রহমান। তিনি জানান, এবার এসএসসিতে মোট ৩৫ জন জিপিএ ৫ সহ গড় পাশের হারেও উপজেলার সেরা হয়েছে তার প্রতিষ্ঠানটি। চলনবিল অধ্যাষিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বরাবরই ভালো ফলাফল করে আসছে তবে এবছর তিনজন উপজেলা সেরা হওয়ায় সবার নজরে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফলাফলে উপজেলায় খুবজীপুর বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় ৯৩.৯৮ পেয়ে প্রথম, গুরুদাসপুর সরকারী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যায় ১১৬ জন সর্বচ জিপিএ ৫সহ ৯১.৮৮ পেয়ে দ্বিতীয় এবং ৩য় বেগম রোকেয়া স্কুল এন্ড কলেজ।
বিদ্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, নিয়মিত সমাবেশ, স্বতন্ত্র ডিবেট ক্লাব ও ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, সুসজ্জিত স্কাউট ও গার্লস গাইড, মনোরম পরিবেশে শিক্ষা দান, স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার দ্বারা হাজিরা ও ফলাফল প্রদান, সিসি ক্যামেরা দ্বারা শ্রেণি কক্ষ ও প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ, নিয়মিত অবিভাবক সমাবেশ, শিক্ষার্থীদেও সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ, নিয়মিত খেলাধুলার পাশাপশি গালর্স গাইড, বয় স্কাউটিংয়ের ধারাবাহিকতায় ভালো ফলাফল করা সম্ভব হয়েছে।