বুলবুল আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার (নেত্রকোনা): জেলার পূর্বধলা উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের জিগাতলা গ্ৰামে মোছাঃ লিজা জাহানের (দিলশান ভিলা)বাড়ীতে জানালার গ্ৰীল কেটে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটে গতকাল ২০শে ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ২টা থেকে ৪টার মধ্যে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, লিজা জাহানের দিলশান ভিলা দুই তলা বাড়ীর নিচ তলায় একটা জানালার গ্ৰীল কেটে প্রবেশ করে ডাকাতেরা ।অস্ত্রধারী ১০/১২জনের এক সংঘবদ্ধ ডাকাত দল মুখে মুখোশ পরে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা লিজা জাহানের বড় ভাই মোঃ সেলিম মাহমুদ (৫০)পিতা মৃত মাহমুদ আলী ও তার স্ত্রী ও মা সহ কাজের লোক কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা ও মুখ বেঁধে সমস্ত আলমারী, সুকেস ও ট্রাংকের চাবি হাতিয়ে নেয়।
ভোক্তভোগী সেলিম মাহমুদ বলেন, আলমারি তে থাকা নগদ লক্ষাধিক টাকা ও বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় ও বাড়ীতে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার সকল সরঞ্জামাদি সহ প্রচুর মূল্যবান সামগ্রী লুঠপাট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ীর মালিক লিজা জাহানের বড় ভাই সেলিম মাহমুদ এর সাক্ষাৎকার নিলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছোট বোন লিজা জাহান স্বামী জিয়াউর রহমান। তারা ঢাকায় উত্তরায় বসবাস করে।
আমি আমার মা ও স্ত্রী কে নিয়ে বাড়ীতে থাকি, আমার মনে হয় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উক্ত ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, তিনি আরোও বলেন দূর্বিত্তরা গভীর রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির কাজ শেষ করে যাওয়ার সময় আমাকে আইনের আশ্রয় নিলে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সেলিম মাহমুদ আরোও জানান, নগদ লক্ষাধিক টাকা স্বর্ণালংকার ও দুইটি মোবাইল ফোন ও সিসি ক্যামেরার সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে গেছে তবে আরোও কিছু নিয়েছে কিনা সেটা আমার বোন লিজা জাহান আসলে বলতে পারবো। সেলিম মাহমুদ আরোও বলেন ডাকাতির শেষে ফজরের আজানের কিছুক্ষণ আগে ডাকাতদল প্রাইভেট কার দিয়ে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও উল্লেখ্য যে, একই রাতে হিরনপুর বাজারে মোঃ আব্দুর রহমানের ৩তলা বাড়ীতে একেই স্টাইলে নিজ তলার জানালার গ্ৰীল কেটে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করেছে দুর্বৃত্তরা।
আব্দুর রহমান এর বাড়ীতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও স্বর্ণালংকার সহ সিসি ক্যামেরার কাজে ব্যাবহৃত সকল সামগ্ৰী ডাকাতি হয়।
একই রাতে এক সাথে হিরন পুর এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে এক আতংক বিরাজ করছে।