আব্দুল জব্বার চঞ্চল, মেহেরপুর॥ বছরের শুরুতেই কয়েক মাস সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় প্রায় প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বা বোনভজনের আয়োজন করা হয় ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে।
জীবন সম্পর্কে ধারণা দিতে বা পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে একঘেয়ে শুকনো কাঠের সাথে পরিপাটি স্কুল ড্রেসের জীবন আর কংক্রিটের বন্দীদসা থেকে মুক্তি দিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পিতা মাতাদের নিয়ে শিক্ষা সফর ,খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান লেগে থাকে মার্চ অবদি। থাকে নানা আয়োজন -গল্প, গান, কবিতা আবৃত্তি,একক অভিনয়, নিত্য এবং দৌড় -ঝাপ, এবং কয়েক রকমের খেলার প্রতিযোগিতা।
এই সকল আয়োজনে থালা- বাটি – গামলা ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য বরাদ্দ কালের এক প্রবিণ ঐতিহ্য । আধুনিকায়ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রধানদের কানে ঢুকেতে বাধা এমন চিত্রই ধরা পড়ছে প্রায় প্রতিটি প্রতিস্ঠানে।
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, স্থান অধিকারী হলেই সেই থালা-বাটি- গামলায় চোখ আটকিয়েছে প্রতিস্ঠান গুলোতে। এগুলো হয় মেলামাইন অথবা চিনামাটি। তবে কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের রুচির তারতম্য দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
দৈনিক বাংলাদেশ সকালের এমন অনুসন্ধানে উঠে এসেছে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর চিত্র।
ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সাথে কথা বলে অভিমত প্রকাশ করার জন্য জানতে চাইলে , অভিভাবকগণ ও ছাত্র-ছাত্রী এ বিষয়ে বলেন, “প্রাপ্ত পুরস্কারটি একটি প্লেট বা বাটি “।
পরবর্তী সময়ে সেই পুরস্কারটি দেখে নিজেকে আনন্দিত করা বা পরের প্রজন্মকে দেখানোর মত কিছুই থাকেনা।
বাড়িতে রাখা সব প্লেট বাটির ভিতরে মিশে যায় এমন মন্তব্য করেন এক মা।
শোকেস এ সাজিয়ে রাখা বা দেওয়ালে টাঙানো এবং তাতে লেখা দেখে বুঝতে পারে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া এবং কি প্রতিযোগিতায় কত তম স্থান অধিকার করে এই পুরস্কার পেয়েছেন বিস্তারিত লেখা থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্ব বহন করে নিজের যৌগ্যতা বলেন এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী।
তিনি আরো বলেন “আগামী প্রজন্মকে দেখানো যায় এমন কিছু পুরস্কারে পুরস্কৃত করা যায় কিনা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এক অভিভাবক মন্তব্য করে।