বাংলাদেশ সকাল
শনিবার , ৫ অক্টোবর ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ভারতে পালানো নেতাদের অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে বিজিবির হেনস্থার শিকার সাংবাদিক 

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ৫, ২০২৪ ৩:৫০ অপরাহ্ণ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী  লীগের প্রভাবশালী নেতাদের অনেকেই দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে  উঠে। অনেকে আবার পালিয়ে যাওয়ার সময়ে সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়।

আবার অনেকে দালাল সিন্ডিকেটের সহায়তায় ভারতে ঢুকতে কোটি টাকাও দিয়েছেন। তবে ২০ লাখের নিচে কেউ ঢুকতে পারেননি এমন গুঞ্জনও রয়েছে সীমান্ত জুড়ে। কেউ আবার খুইয়েছেন মোটা অঙ্কের নগদ টাকা ও ডলার। কাউকে দিতে হয়েছে জীবনও। তবু চলছে ভারতে পালানোর হিড়িক। ফলে  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা চিহ্নিত দালালদের পোয়াবারো।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর পরই  দলের কান্ডারীখ্যাত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোরে চলে আসেন। তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়। পরদিন তিনি বিশেষ প্রহরায় সীমান্ত অতিক্রম করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীমান্তের চোরাই ঘাটগুলো নিয়ন্ত্রিত হতো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন স্বরাষ্ট মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দ্বারা। সারা বাংলাদেশে এ মন্ত্রীর আস্থাভাজনরাই সীমান্তের চোরাই ঘাটগুলো দখলে নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে অবৈধ্য কারবার পরিচালিত হতো। এসব অবৈধ্য কারবারের মধ্যে মাদক পাচার, অস্ত্র পাচার, সোনা পাচার,অবৈধ্য মালামাল, গরু পাচারসহ সব ধরনের কারবার হতো।  অবৈধ ঘাট মালিকদের মধ্যে বেনাপোল পুটখালী সীমান্তের নাসির, জসিম, সেলিম, রমজান,গোগা সীমান্তের তবিবুর রহমান তবু চ্যারম্যানসহ বেশ কিছু অবৈধ্য কারবারীদের সাথে  স্বরাষ্ট মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সড়কও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ওবাইদুলের সাথে নিবিড় সখ্যতা ছিলো। সেই সূত্র ধরে পুটখালী সীমান্তের নাসিরও জসিমের মাধ্যমে সাবেক এ প্রভাবশালী আওমীলীগের নেতাসহ বেশ কিছু নেতা বেনাপোলের পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছে। তবে সীমান্তের অবৈধ্য ঘাটমালিকরা এতটাই শক্তিশালীও বেপরোয়া যে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

অভিযোগ আছে, ভিআইপিদের অনেকে পার হওয়ার সময় দুদেশের প্রশাসনের লোকজনের সহায়তা করেছেন। তা না হলেও এসব নেতারা কখনোই দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে পারতো না।  যদিও এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। আওয়ামী বলায়েলর সাজানো প্রশাসন হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে অনেকে তাদের নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে সব ধরনের সহায়তা দিয়েছেন এবং এখনো দিচ্ছেন।

৭ আগস্ট রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকারসহ আরও বেশ কয়েকজন বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।  এমনকি  ছাত্র আন্দোলন শুরু থেকে নিজস্ব অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে মাঠে সরব থাকা যশোর-১ আসনের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন চাকলাদার, অভয়নগরের পৌরর সাধারণ সম্পাদকও পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত,অভয়নগরের আওমীলীগের শীষ সন্ত্রাসী রবিন অধিকারী বেচাসহ স্থানীয় নেতাদের অনেকেও সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়।

এর পর গত মঙ্গলবার দেশের বেসকারী একটি টেলিভিশন চ্যানেল খবর প্রকাশিত হয় যে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কলকাতার নিউ টাউনের ইকোপাকের রাইডে বিনোদন করছে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশ ব্যাপী মানুষের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রি দেখা দেয়। সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর বিষয় নিয়ে অধিকতর অনুসন্ধানের লক্ষ্যে বুধবার সকাল ৯টার দিকে সীমান্ত অঞ্চালে প্রবেশের সব নিয়ম মেনে প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রতিবেদক বেনাপোল পুটখালী সীমান্তে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে সীমান্তের গোপন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এমন আশঙ্কায় ‘প্রতিদিনের বাংলাদেশ, প্রতিবেদক মিঠুকে রাস্তায় আটকে দেন এবং তার উপর চড়াও হয় বিজিবি সদস্যরা। এমনকি পুটখালী বিজিবির ক্যাম্প কমান্ডার ইসমাইল ও মজিদ বাড়ি বিজিবি চেকপোস্টের হাবিলদার বেলায়েত এ প্রতিবেদককে মারতে উদ্যোত হয় এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন। প্রতিবেদক শান্ত থেকে বিজিবিদের বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তার আগে বিজিবির ডিজি ও ২১ বিজিবি ব্যাটিলিয়নের অধিনায়ক খুরশিদ আনোয়ারের ফোনে বার বার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। পরে খুলনা ২১ বিজিবির অধিনায়ক মো: খুরশীদ আনোয়ার নিজেই পুটখালী বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ইসমাইল হোসেনের ফোনে ফোন দিয়ে সংবাদিকে হেনেস্ত না করার নিদেশ দেন। এর বিজিবি সদস্যরা শান্ত হন।

উল্লেখ্য ৫ আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাত্রি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় অনেক নেতাকর্মী। কিছু নেতাকর্মী দেশের ভিতরে ও আত্মগোপনে ছিল পরে বেনাপোলসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় । আবার অনেকে এখনো ভারতে পালানোর সুযোগ খুচ্ছে।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

কোটচাঁদপুরে আলোচিত লক্ষিপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই শামছুল হক ক্লোজ

কাশিয়ানী উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে  জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামানের মতবিনিময় 

নাটোরে ৩৩ আ.লীগের নেতাকর্মী আটক 

কক্সবাজার পৌর শাখার আওয়ামী মৎসজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শাহাবুদ্দিন জনি গ্রেফতার 

থেমে নেই ভূমিদস্যুদের পাহাড় গিলে খাওয়া

শ্যামনগরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ভারতীয় ১১০ বোতল বিয়ার জব্দ

রাণীশংকৈলে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ৩ বছরের নবাগত কমিটি গঠন

বদলগাছীতে কাবিটা প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের নিউজে ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিককে মারপিট, থানায় অভিযোগ

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায় থেকে অব্যাহতি পেলেন শাহীন চাকলাদার 

বগুড়া ৬ ও ৪ আসনে জয়ী নৌকা