জহিরুল ইসলাম, যশোর॥ ডিজিটাল বাংলাদেশ, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ দিন পাল্টালেও সাধরণ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি। সারা দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূলের দাম দিন দিন অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্যবিত্ত, নিম্ন আয় ও সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের আয় বৃৃদ্ধি পায়নি।
এর প্রভাব পড়েছে যশোর জেলার ঝিকরগাছায় এখানে রাস্তা ঘাটে চলাফেরায় যেনো শুনসান নিরাবতা নেই আগের মতো কোলাহল, উন্নয়ন এত বেশি হয়েছে যে রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে কালো মানুষগুলো লাল হয়ে যায় আর লাল মানুষ গুুলো কালো হয়ে যায়, সপ্নের পদ্মা সেতু চালুর হওয়ার পর যেখানে ভাগ্যের চাকা খোলার কথা সেখানে এমন পরিণতি যেন মানতে নারাজ যশোর জেলার গ্রাম গঞ্জের মানুষগুলো।
এই উপজেলায় উন্নয়নের ছোয়া আকাশ চুম্বি হলেও, গ্রামে যেনো চলছে নিরব দূর্ভিক্ষ। বিপাকে পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। এক প্রকার তরকারি দিয়ে তিনবেলা ভাত খাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঝিকরগাছায় আয় রোজগারে সাধারণ লোক কর্মহীন, গ্রামাঞ্চলে অনেক পরিবারকে ক্ষেত বা খালের পাড় থেকে কচুসহ বিভিন্ন শাঁক এনে রান্না করে খেতে দেখা যাচ্ছে। কাঁচামাল, মাছ, মাংস, দুধ, ওষুধ, কনফেকশনারী খাবার, কসমেটিকস, কাপড় সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যা মূল্য দাম লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ জনগন।
বাজর ঘুুরে দেখা যায় কাচাঁ বাজার সার, মাংসের বাজার প্রায় ক্রেতা শুন্য। আকবার আলী নামে এক ক্রেতা বলেন মাছ, মাংস কিনতে এলে মনে হয় যেনো টাকা চিবিয়ে খাচ্ছি। কীটনাশকের দাম করোনা পরবর্তী সময়ে যে হারে বৃৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচমালের ভালো মুুল্য না পেলে কৃৃষক বাঁচবে না। আবার মাংসের যে দাম হবে না কেনো গরু, ছাগল, মুুুরগী, ও মাছের খাদ্যের দাম যে হারে বৃৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মাছ, মাাংসের দাম বৃৃদ্ধি হওয়া স্বাভাবিক, সবার আগে সরকারের উচিৎ সার, কীটনাশক ও গরু খাদ্যের দাম কমানো এ ব্যাপারে বাজার নিয়ন্ত্রণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বেশি বেশি নজরদারির দাবি সাধারণ জনগণের।
রমজান মাস সামনে রেখে কিছু মুুুুনাফা লোভী, অসাধু ব্যবসায়ী কারসাজি করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়, এ জন্য বাজার মনিটরিং মাধ্যমে আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্য মুুল্যের দাম যেন লাগামহীন না হয়, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, এটুকু প্রত্যাশা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের।