বাংলাদেশ সকাল
বুধবার , ৮ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

দেবহাটায় বিলুপ্তির দ্বারে মাটি ও বাঁশের তৈরি ধানের গোলা

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
জানুয়ারি ৮, ২০২৫ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

 

আব্দুল্লাহ আল মামুন : বিলুপ্তির দ্বারে কালের স্বাক্ষী মাটি ও বাঁশের তৈরী ধানের গোলা। উপজেলার কিছু কিছু গ্রামে এখনো কালের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাটি ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ধানের গোলা। এসব অঞ্চলের মানুষের এক সময় গোলাভরা ধান ও পুকুরভরা মাছ ছিল কিন্তু সময়ের প্রেক্ষাপটে এখন ওইসব ঐতিহ্যের সবকিছুই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এ প্রজন্মের মানুষের কাছে পূর্বেকার ওইসব রীতিনীতি যেন এখন রূপকথার গল্প কাহিনীর মতো। বর্তমানে ধান চাষের জমির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমে আশায় এখন আর কৃষক বা চাষিদের গোলাভর্তি ধান ঘরে ওঠে না। নেই আগের মতো গোলার ব্যবহার।সবই যেন বিলুপ্ত হতে চলেছে। সেইসঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ধানসহ শস্য রাখা গোলার ব্যবহার। শত বছর আগের তৈরি ধানের গোলা কিছু কিছু কৃষকের বাড়ির সামনে আজও কালের সাক্ষ্য দিচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দেবহাটার সখিপুর গ্রমের মৃত তরফতুল্য গাজী ছেলে গোলাম মোস্তফা বলেন বাপ-দাদার তৈরি এই গোলাগুলো স্মৃতি হিসেবে রাখা হয়েছে। ধানসহ বিভিন্ন শস্য রাখা গোলা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে ধান সংরক্ষণ করা গোলার আবহমান রীতি।এখন শুধু পূর্বপুরুষের তৈরি করা অল্পসংখ্যক গোলা ছাড়া নতুন কোনো শস্য মজুদ রাখার গোলা আর চোখে পড়ে না। যুগেরও পরিবর্তন ঘটেছে। পূর্বপুরুষদের মতো এখন আর গোলার প্রয়োজন হয় না। আগে গ্রামের মানুষদের ধান মাড়াই করে গোলায় তোলার যে আনন্দ ছিল, এখন আর তার দেখাই মেলে না। আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের বিবর্তনে সব হারিয়ে যেতে বসেছে।এবিষয়ে দেবহাটা উপজেলার কোড়া গ্রামের কৃষক আকবার আলি বলেন, বাপ ও দাদার কাছে শুনেছি- সেই আমলে রাস্তাঘাটের অবস্থা ছিল খুবই করুণ। গরুর গাড়ি ছাড়া মানুষের চলাচলসহ ধান বিক্রির কোনো বিকল্প পথ ছিল না। বাজারগুলোও ছিল দূরে। তাই ধান গোলাতেই রাখা হতো দীর্ঘসময়। তার পর সুবিধামতো সময়ে বিক্রি করা হতো। বর্তমানে রাস্তাঘাট উন্নত, সেইসঙ্গে আশপাশে গড়ে উঠেছে ধান বেচা-কেনার আড়ত। নানা কারণে ভাগ বাটোয়ারা হয়ে কমে গেছে ব্যক্তিমালিকানা জমির পরিমাণ। তাই সময়ের প্রয়োজনে ধান গোলাতে তোলার আগেই বিক্রি করে দিতে হয়। তাই ধানের গোলাগুলো এখন বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন আমরা বয়সে কিছু দিন গোলার এর ব্যবহার দেখছি, কিন্তু বর্তমান জেনারেশন জনে না এটা কি কাজ ছিলো।  বর্তমান সময় গোলাঘর তেমন কোন প্ররোজন হয়না কারণ গোলাঘরে ফসল সংরক্ষণ করলে নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা থাকে, বর্তমান বিশ্ব উন্নত হয়েছে তাই সংরক্ষণ করার জন্য এখন পাটের বস্তা, পেপারের বস্তা ও প্লাস্টিকের ড্রাম ব্যাবহার হয় এর ফলে গোলার ব্যাবহার কমে গেছে, তবে আমি চাই আমাদের গ্রাম গঞ্জে যাদের বাড়িতে এখনো গোলা আছে সেটা কি ভাবে সংরক্ষণ করা যায় সেদিকে আমাদের সবার খেয়াল রাখা।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বদলগাছীতে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরিবারের পাশে এমপি সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী

অস্বচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বী করতে রাণীশংকৈলে বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন 

ঝিকরগাছায় জাতীয় সমাজসেবা দিবসের র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক : বর্তমান প্রেক্ষিত

শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হ’ত্যা মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম তোতা গ্রেফতার 

গাজীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই নরসিংদীর 

সার্ভারে ত্রুটি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম দাখিল করতে পারছেনা প্রার্থীরা

আট দিনব্যাপী ময়মনসিংহ বিভাগীয় বইমেলা উদ্বোধন 

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

ঈদগাহ জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে ড্রেস প্রদান