বাংলাদেশ সকাল
বৃহস্পতিবার , ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ | ২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য ও চাঁদাবাজির সংবাদের জেরে ধর্ষন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৯, ২০২২ ৬:০৮ অপরাহ্ণ

ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম॥ চট্টগ্রামে এক গনমাধ্যম কর্মীকে চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সংবাদপ্রকাশের জের ধরে হত্যার হুমকি ও ধর্ষন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে সন্ত্রাসী মাছ সাদ্দামের বিরুদ্ধে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার শেরশাহ্ বাংলাবাজারে অবৈধভাবে স্থাপিত ভাসমান দোকানপাট থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে স্থানীয় সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম ওরফে মাছ সাদ্দাম।তার বিরুদ্ধে একাধিক গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে চট্রগ্রামের আঞ্চলিক পত্রিকা “দৈনিক চট্টগ্রামের পাতার” সহ-সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান” কে হত্যার হুমকি ও মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকি দেয় সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম” যার একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পরেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

চট্টগ্রামের বাইপাস, লিংক রোডের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ শেরশাহ্ বাংলাবাজারের চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ঢালাওভাবে সংবাদ প্রকাশ হলে অবৈধ বাজারটির সিন্ডিকেটের মূল হোতা চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম” এর নেতৃত্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই মানববন্ধন করেন বাজারটির চাঁদা উত্তোলনকারী অবৈধ সংগঠনটির সদস্যরা।

সংবাদগুলো প্রসাশনের সংশ্লিষ্টদের নজরে আসায় সড়কটিতে যানজট নিরসনে যানচলাচলের উপযোগী করতে থানা পুলিশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধভাবে গড়ে তোলা বাজারটি উচ্ছেদ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পত্রিকার প্রতিবেদনকারী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ও বিরূপ মন্তব্য করতে থাকে চাঁদাবাজরা। এতে স্থানীয় সাংবাদিক ফিরোজ খান’কে ইঙ্গিত করে কয়েকদিন আগে “বেশি বাড়াবাড়ি করলে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া ও ধর্ষণ মামলায় দিবো” বলে চাঁদাবাজ সাদ্দাম ওরফে “মাছ সাদ্দাম ” এর পক্ষ থেকে হুমকি প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে নিজের নিরাপত্তায় সেই চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দামের বিরুদ্ধে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাংবাদিক ফিরোজ খান। যার জিডি নং – ১৮০৩।

সাংবাদিক ফিরোজ খান বলেন, জন স্বার্থে বাংলা বাজারের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় অনেক আগে থেকেই আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এর আগে চাঁদাবাজরা সকলে একত্রিত হয়ে আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেছে।

এই বাংলাবাজারের চলমান অপকর্মের বিষয়ে আবারো সাংবাদপত্রে আলোচনা শুরু হলে চাঁদাবাজরা আমাকে টার্গেট করে আবারো মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পাঁয়তারা শুরু করেছে। আমাকে প্রকাশ্যে হত্যা ও ধর্ষন মামলায় ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি ইতিমধ্যে থানায় নিজের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি।

এ বিষয়ে চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে মুঠোফোনে কিছু বলতে চাননি। এই প্রতিবেদকে সরাসরি দেখা করার জন্য বলেন।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান এবিষয়ে দ্রুত তদন্তের জন্য একজনকে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানান, তদন্ত পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

এদিকে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় পত্রিকা “দৈনিক চট্টগ্রামের পাতার সহ-সম্পাদক মোঃ ফিরোজ খান” কে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের একাধিক সাংবাদিক সংগঠন। নেতৃবৃন্দ বলেন অন্যায়, অনিয়ম চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সরাসরি হত্যা, মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্যে হুমকিটি সাংবাদিকতা পেশার উপরই হুমকি বলে মন্তব্য করেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয় তা নজরে রেখে আমরা প্রয়োজনী কর্মসূচি পালন করবো।

তথ্যমতে, বাংলাবাজার থেকে চাঁদা উত্তোলনসহ নানান অপরাধ অপকর্মে সরাসরি সম্প্রিক্ততার কারনে সাদ্সামের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কল্যান সমবায় সমিতির আড়ালে পুরো সড়ক দখল করে বসানো হয়েছে ভ্যান গাড়ির ভাসমান অবৈধ বাজার। আর এ অবৈধ ভাসমান বাজার থেকে মাসে চাঁদা তোলা হয় সাড়ে চার লাখ টাকা। প্রতিটি ভ্যান বসানোর শুরুতে নেয়া হয় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়া ভ্যানে সংযোগ দেয়া বিদ্যুতের লাইট প্রতি দৈনিক বিল নেয়া হয় ২০ টাকা। বাজারে ৫ শতাধিক লাইট রয়েছে। সেই হিসাবে মাসে ৩ লক্ষাধিক টাকার চাঁদা তোলা হয় বিদ্যুৎ খাতে। স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের অভিযোগ এই সবের সাথে জড়িত রয়েছে সরকার দলীয় স্থানীয় নেতা, বিদ্যুৎ বিভাগ ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।যার ফলে এই সব অপকর্মে বেপরোয়া হয়ে প্রত্যেক্ষও পরোক্ষভাবে জড়িত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও কিশোর গ্যাং লিডার সাদ্দাম ওরফে মাছ সাদ্দাম।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ- যশোরে আইজিপি

ময়মনসিংহ মহানগর আ.লীগের শান্তি সমাবেশে যুবলীগের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল 

নিজ অন্ডকোষ ও গোপনাঙ্গ কেটে ফেললো ট্রান্সজেন্ডার 

সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলগুলোর প্রয়োজনীয় স্থানে জেটি স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

নওগাঁর আত্রাইয়ে বিদেশে পাঠানোর নামে টাকা আত্নসাৎ

নাটোরে গরু চুরি কাণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার

থানার সামনেই দৈনিক মানব কন্ঠ ও দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার প্রতিনিধিকে মারপিট

ঈদগাঁও বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ যানজট নিরসনে প্রশাসনের সাথে মতবিনিময়

সাংবাদিক ফারজানা মিথিলাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ

আমতলীতে মহিলা কলেজ প্রভাষকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা