
শেখ শফিউল আলম লুলু, ঝিনাইদহ॥ সাদ্দামের দুটি কিডনী নষ্ট, ডায়ালিস করে বেঁচে আছে, সহযোগিতা পেলে হয়তো নতুন জীবন ফিরে পেতো। অসহায় পিতার আকুতি। ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর চাঁন পাড়ায় বাস করে সাদ্দামের পিতা। সাদ্দামের পিতা একজন ইজিবাইক চালক। এনজিও থেকে ঋন নিয়ে ইজিবাইক কেনা। সেটিও বিক্রয়ের উপক্রম হয়েছে।
পরিবার ও ডাক্তার জানান, সাদ্দাম ৯ মাস আগে হঠাৎ করে ফুলে যায় ও প্রসাব বন্ধ হয়ে সাদ্দামের পরিবার চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কিডনী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সিদ্দিকুর রহমানের নিকট যায়। সেখানে পরীক্ষা করার পর ডাক্তার সিদ্দিকুর জানান সাদ্দামের দুটি কিডনী নষ্ট। তখন কিডনীর খারাপ ছিলো ৭৫% ভাগ। এরপর পরিবার ভারতের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়ে ডাক্তার সন্তোস ভারুঘি কে দেখান।ডাক্তার বলেন সাদ্দামের দুটি কিডনীই ৯৫ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন অতিদ্রæত কিডনী প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিডনী প্রতিস্থাপন করতে ৫০লক্ষ টাকা খরচ হবে। অসহায় পিতার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তখন সাদ্দামের পিতা ভারত থেকে দেশে ফেরত নিয়ে আসেন। সাদ্দামের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সাদ্দামের কুষ্টিয়ায় সপ্তাহে দুইদিন করে কিডনীর ডায়ালাইসিস করতে হয়। এতে ডায়ালাইসিস বাবাদ সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকা করে খরচ হচ্ছে। কিন্তু ইজিবাইক চালক বাবার দিনে আয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মত। এর মধ্যে সপ্তাহে দুইদিন ছেলেকে নিয়ে কুষ্টিয়ায় যেতে হয়, বাবার সংসারে ৭ জন সদস্য, সংসার চালাতে হয়। সাদ্দামের বাবা বলেন, ঠিক মতো খাবার কিনতে পারি না সেখানে ছেলের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবো কীভাবে? — বলে কেঁদে ফেলেন তিনি। বাবার সামনে টগবগে যুবক ছেলেটি ধীরে ধীরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, সেই বাবাই বোঝে বুকের চাপা কষ্ট, তারপরেও ধারদেনা করে চিকিৎসা চলছে। এমতাব্যস্থায় সমাজের বিত্তবানসহ সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। প্রত্যেকের ক্ষুদু ক্ষুদ্র সাহায্যই পাওে, মহান আল্লাহ তায়ালা ছেলেটিকে তার বাবার কোলে ফিরে যেতে। সাহায্যে ও সহযোগিতার জন্য সরাসরি যোগাযোগ করুন মো: ফারুক হোসেন, বিকাশ নং:-০১৯৬৫-৮৩১৮৪৫, নগদ নং:-০১৮৩০-১৪৪৯৮৫, ব্যাংক হিসাব নং: ২০৫০১৭৫০২০৪৮৯২০৪(মো: ফারুক হোসেন), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ঝিনাইদহ শাখা, ঝিনাইদহ।