হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র : জাতীয় সম্মিলিত ফোরাম (জেএসএফ ) বাংলাদেশের পক্ষে হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন এক বিবৃতিতে বাপসনিউজকে জানিয়েছেন, ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলন্ত নিথর ফেলানীর লাশ দেখে পুরো পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অথচ শেখ হাসিনার বুক কাঁপে নাই। বিএসএফ অথবা ভারত সরকার অনুশোচনা বোধ করে নাই। এরকম বন্ধু আমাদের প্রয়োজন নাই। ভারত সরকারকে বুঝতে হবে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ তাদের গোলাম হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ নয়। আমরা শেখ হাসিনার গদি উল্টে দিয়েছি এবং ভারতের গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি।
২০১১ সালে নিজ দেশে আসার জন্য ওই বছরের ৭ জানুয়ারি ভোর ৬টার দিকে ভারতের কাঁটাতার বেয়ে আসতে থাকে সে। দালালের মাধ্যমে ফুলবাড়ির অনন্তপুর সীমান্তে মই বেয়ে কাঁটাতার টপকে পার হয় ফেলানীর বাবা। পরে ফেলানী কাঁটাতার পার হওয়ার সময় বিএসএফের গুলিবিদ্ধ হয় সে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আধা ঘণ্টা ধরে কাঁটাতারের ওপরই ছটফট করতে থাকে সে। পরে সেখানে ঝুলন্ত অবস্থাতেই নির্মম মৃত্যু হয় কিশােরী ফেলানীর।
ফেলানী হত্যাকা-ের কারণে গণমাধ্যমসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত। পরে বিএসএফের বিশেষ কোর্ট দুই দফায় বিচারিক রায়ে খালাস দেয়া হয় অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে।
জেএসএফ বলেছে আওয়ামী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে দিনের পর দিন, ভারতের বিএসএফ সীমান্তে পাখির মতো হত্যা চালিয়েছে। রক্তপিপাসু আওয়ামী সরকার ভারতকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড চালানোর ফ্রি লাইসেন্স দিয়েছিল বলেই একবারও প্রতিবাদ করে নাই। ভারত সরকার বন্ধুত্বের মিথ্যা আশ্বাস এবং লাশ হস্তান্তর ব্যতীত কিছুই করে নাই। তাই ফেলানী হত্যার দায় শুধু মাত্র বিএসএফ এর নয়, ফেলানী হত্যায় ভারত ও শেখ হাসিনা দায়ী। এর বিচার হবে হত্যার বদলে হত্যা। কোনো কিছুই হলো না ১৪টি বছর, এটি কি করে সম্ভব। নতুন সরকারের (অন্তর্বর্তী) কাছে আমরা ন্যায় বিচার চাই। আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার চাই।