বাংলাদেশ সকাল
মঙ্গলবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. আবহাওয়া
  5. এক্সক্লুসিভ
  6. কৃষি বার্তা
  7. ক্যাম্পাস
  8. খেলাধুলা
  9. খোলা কলাম
  10. জাতীয়
  11. ধর্ম ও জীবন বিধান
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বিনোদন
  15. বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

৪৫ বছর পর আশায় বুক বেঁধেছে শেরপুর বিএনপি

প্রতিবেদক
অনলাইন ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪ ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

 

শেরপুর প্রতিনিধি (কাকন সরকার) : উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জনপ্রিয় হতে থাকে এই দলটি। ৮০ দশকের দিকে পরিপূর্ণ জনপ্রিয়তা লাভ করে শেরপুর জেলা বিএনপি। বর্তমানে শেরপুর সদর আসন বিএনপির ঘাঁটি বা ভোট ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। কিন্তু জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও প্রায় ৪৫ বছর যাবত শেরপুর সদর-১ আসনে ধানের শিষ প্রতীকের বা বিএনপির সংসদ সদস্য নেই। সাধারণ ভোটার এবং প্রবীণ বিএনপি নেতাদের দাবি দলীয় কোন্দল এবং সঠিক নেতৃত্বের কারণে দলটির সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও বার বার সদর আসন হারিয়েছে বিএনপি। তবে এবার আশার আলো দেখছেন শেরপুর সদর আসনের ভোটার এবং দলীয় নেতৃবৃন্দরা।শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেছেন দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দলকে সুসংগঠিত করছি ।

জানা যায়, ১৯৭৯ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট খন্দকার আব্দুল হামিদ। সে সময় তিনি মন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু ২ বছর বাকী থাকতেই ভেঙ্গে যায় সংসদ। খন্দকার আব্দুল হামিদের পর যোগ্য নেতার অভাব এবং রাজনৈতিক কোন্দলের কারণে এ আসনটি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বিএনপির। মাঝে দীর্ঘ সময় বিরতির পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ১৫ দিনের জন্য এমপি হয়েছিলেন বিএনপি থেকে ধানের শিষ প্রতীকের প্রার্থী (সচিব) নজরুল ইসলাম। ১৯৮৬, ৮৮ ও ৯১ এর নির্বাচনে তৎকালীন জাতীয় পার্টি থেকে টানা তিনবারের জন্য এমপি নির্বাচিত হয় শাহ রফিকুল বারী চৌধুরী। এরপর ১৯৯৬ সালে পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শিষের প্রার্থীকে পরাজিত করে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক বিজয়ী হয়। তারপর ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিউর রহমান আতিক বার বার বিজয়ী হন। ফলে বিএনপির ভোটাররা হতাশ হয়ে পড়েন এবং অনেক ভোটার ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যায়।

যদিও ১৮ সালের নির্বাচনে বর্তমান আহ্বায়ক মো. হযরত আলী জেলে থাকার কারণে তার মেয়ে ডা: সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। বাবার জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ আতিউর রহমানের ভীত কাঁপিয়ে দেন প্রিয়াঙ্কা। দুপুর ১২টার মধ্যে ৩৫ হাজার ভোট পান। এরপর কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট থেকে সরে দাঁড়ান প্রিয়াঙ্কা।  বর্তমানে ৪৫ বছর পর আবারও আশায় বুক বেধেছে শেরপুর বিএনপি তথা সদর উপজেলাবাসী।

দলের নেতাকর্মীরা জানায়, ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রায় আট বছর দায়িত্ব পালন কালে দলকে সুসংগঠিত করেছেন মো. হযরত আলী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নিপীড়ন অত্যাচার ও মামলায় হেনস্থার শিকার শত শত নেতাকর্মীর পাশে ছিলেন হযরত আলী। এই আট বছরে তিনিও নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জেল খেটেছেন প্রায় ৩২ মাস। আর মামলা খেয়েছেন ৪৫টি। তার ব্যবসা-বাণিজ্য সহায় সম্বল প্রায় ধ্বংসের পথে। এই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার কারণে। সর্বশেষ গত ২৭ জুলাই সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকায় তার নিজস্ব রোজবার্গ অটো রাইস মিলে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট পুলিশ হামলা চালিয়ে রাইস মিলের প্রায় ১০ কোটি টাকার মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর চালিয়ে নষ্ট করেন। তবুও তিনি প্রাণপণে চেষ্টা করেছেন দলের নেতাকর্মীদের ভালো রাখতে। বিপদ আপদে পাশে থেকেছেন তৃণমূলসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মী ছাড়াও এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষের। ক্ষমতার পট পরিবর্তনে জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ভীষণ আতঙ্কে ছিল। পরে তাদের ডেকে নিয়ে অভয় দিয়েছেন। রাত জেগে বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পাহারা দিয়েছেন।

আরো জানা যায়, চলতি বছরের ৩ নভেম্বর জেলা বিএনপির ৩ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আহবায়ক হয়েছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী। ফলে এলাকায় তাকে আলোর দিশারী হিসেবেই দেখছে সাধারণ মানুষ। নেতাকর্মীরাও বেশ উজ্জীবিত।

নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে হযরত আলী দায়িত্ব পাওয়ার পর দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রদল ও যুবদল নেতা আব্দুল আউয়াল চৌধুরী বলেন, দলকে সুসংগঠিত করতে নতুন আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী দীর্ঘদিন থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়া শেরপুর সদর-১ আসনে দীর্ঘদিন থেকেই আমরা ধানের শিষের এমপি পাচ্ছি না। এবার সে আসার আলো জেগে উঠেছে।

সাবেক ছাত্রদল নেতা ফজলুর রহমান তারা বলেন, হযরত আলী আহ্বায়ক হওয়ার পর থেকেই দলের ভিতরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন থেকেই দলকে সংগঠিত করতেও কাজ করে যাচ্ছে। ফলে শেরপুর-১ আসনে ধানের শিষের প্রার্থী হিসেবে তিনি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।

জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মো. শওকত হোসেন বলেন, আমাদের নেতা মো. হযরত আলী দীর্ঘদিন থেকেই দল এবং এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। এবার শেরপুর-১ সদর আসনে ধানের শিষ প্রতীকে বিজয়ী করতে আমরা আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ রয়েছি।

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নিয়ামুল হাসান আনন্দ বলেন, নতুন আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে আমরা একজন ত্যাগী ও জনপ্রিয় নেতা পেয়েছি। যার ফলে দীর্ঘদিন পর শেরপুর-১ সদর আসনে ধানের শিষের এমপি পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হয়েছে।

শেরপুর জেলা বিএনপির প্রবীণ রাজনীতিবিদ হাতেম আলী বলেন, যদিও একসময় আমাদের জেলা বিএনপিতে যোগ্য নেতার অভাব ছিল এবং দলকে পরিচালনা করাই কঠিন ছিল। কিন্তু আমরা যোগ্য নেতা পেয়েছি এবং দলের ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরেছিল হযরত আলী। শেরপুর বিএনপিকে এগিয়ে নিতে টাকা পয়সা থেকে শুরু করে সব রকম সহযোগিতা করেছেন তিনি।

শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হযরত আলী বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দলকে সুসংগঠিত করছি এবং জনগণের আস্থা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছি। শেরপুর সদর আসনের জনগণ ধানের শিষের এমপি পায়নি। তবে এবার শেরপুর বিএনপিসহ সাধারণ ভোটাররা সেই আশার আলো দেখছেন।

সর্বশেষ - এক্সক্লুসিভ

আপনার জন্য নির্বাচিত

নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে প্রবাসীদের অভিনন্দন

১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন – বিশিষ্ট সাংবাদিক হাসান আহমেদ

পার্বতীপুরে ক্লেমন সিজন -২ এর ফাইনাল অনুষ্ঠিত 

রাণীনগরে পুকুরে পরেছিল ইউপি সদস্যের মরদেহ

ডাসারে বিয়ের বয়স হলেও বিয়ে বন্ধের নির্দেশ ইউএনও’র

ঈদগাঁওর কানিয়াছড়ায় একটি ফার্মের কারণে স্বস্তিতে নেই স্থানীয়রা 

যেখানে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা, অরাজকতা সেখানেই প্রতিরোধ : মোঃ আল মুকিদ (মাহি)

সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া সুন্দরবন উপকূলীয় খুলনার কয়রায়

শেরপুরে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুভ উদ্ভোধন অনুষ্ঠিত 

আত্রাইয়ে চব্বিশ প্রহর ব্যাপী মহানাম যজ্ঞাঅনুষ্ঠান