আবু বকর ছিদ্দিক রনি, বিশেষ প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যশোর-১ (শার্শা) আসনেই দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন শার্শার গণমানুষের নেতা, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন।
সোমবার দুপুরে দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর আগে রবিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ৮৫ যশোর- ১ আসনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আশরাফুল আলম লিটন। সেই আসনের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তিনি।
দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ‘তৃণমূল থেকে উঠে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী একজন সৈনিক হিসেবে আমি ও আমার মত যারা আছেন তারা প্রত্যেকেই জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহের অধিকার রাখেন। আমি ছাড়াও বৃহত্তর এই আসনে এই পর্যন্ত যারা মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন অবশ্যই তাদের যোগ্যতা আছে। যোগ্যতা, দক্ষতা ও জনসম্পৃক্ততা বিবেচনায় আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক দেবেন তাকেই বিজয়ী করার ব্রত নিয়ে কাজ করব।’
তিনি আরো বলেন, ‘৮৫যশোর-১ আসনে আমাকে নৌকা প্রতীক দেওয়া হলে আমি ধন্য হবো। শার্শার প্রকৃত আওয়ামী লীগ পরিবার ও ত্যাগী নেতারা আমার সাথে আছে। দলীয় সভাপতি আমাকে ছাড়া তার বিবেচনায় যোগ্য যেকোনো প্রার্থীকে নৌকা প্রতীক দিলে আমার সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে তাকে বিজয়ী করার সর্বশক্তি নিবেদন করব। নৌকা প্রতীক পেলে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সচেষ্ট হব।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াস আজম, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর মন্ডল, শার্শা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস ভুঁইয়া, ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুটখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল গফফার সরদার, লক্ষণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন, উলাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও নিজামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল।
আশরাফুল আলম লিটন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ছড়াও দীর্ঘদিন যাবত সফলতার সাথে বেনাপোলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আধুনিক বেনাপোলের রুপকার হিসেবে পরিচিত এই নেতা বেনাপোলকে একটি স্মার্ট বেনাপোল হিসেবে গড়ে তুলেছেন। বেনাপোলের ন্যয় শার্শা উপজেলাকেউ স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চান ত্যাগী এই নেতা।