ডিমলা নীলফামারী প্রতিনিধি :
নীলফামারীর ডিমলায় মাদক ব্যবসার মূলহোতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই তাদের জামিনে মুক্তি পাওয়ায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মাদকবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধিদের উপর হামলা ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আগামীকাল ডিমলায় সর্বাত্মক ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হবে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে ডিমলা উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
জানা গেছে, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন রেজাউল করিম নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি নীলফামারী সরকারি কলেজের এমবিএ শিক্ষার্থী এবং জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক। রেজাউল করিম উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা ঘাটের পাড় গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে।
এ ঘটনায় ডিমলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মাদক ও চোরাচালানী গরু ব্যবসায়ী পিয়ারুল ইসলাম, নুর আলম, নুর ইসলামসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে, মাদক ব্যবসার মূলহোতাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আগেই তারা জামিনে মুক্তি পায়। মামলার বাদী রেজাউল করিম বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীরা নীলফামারীতে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছি। স্বৈরাচার পতনের পর এলাকায় ফিরে দেখি, ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে চোরাকারবারি এবং মাদক ব্যবসার বিস্তার ঘটছে। বিষয়টি বালাপাড়া বিজিবি কমান্ডারকে জানাই, কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে গত ১৯ জানুয়ারি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিই।
পোস্টে উল্লেখ করি, আজ সকাল ৬টার দিকে পশ্চিম ছাতনাই এলাকায় ভারত থেকে অবৈধ গরু ও মাদক আনার সময় চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে ভারতীয় বিএসএফ গুলি চালায়। এরপর বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে সীমান্ত এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা যেন আর না যায়।
এঘটনায় রাশেদুজ্জামান রাশেদ জানান, পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ বাজারে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযানের দাবি জানানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ডিমলা উপজেলায় মাদকের মূলহোতা গ্রেপ্তারের পূর্বেই জামিনে মুক্তি পাওয়ায় মাদকবিরোধী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ডিমলা থানার ওসি তদন্ত আঃ রহিম জানান, শুনতেছি ছাত্ররা ব্লকেড কর্মসূচি ষোষনা করেছে।